শিক্ষকতার মুড়িঘণ্ট





কী এক অদ্ভুত কারণে নবম শ্র্রেণিতে পড়া কালীন ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, বড় হয়ে একদিন শিক্ষক হব। তাও আবার সরকারি কলেজে। বর্তমানে তা হতে পেরেছি বলে এখন বলাটা অনেকটা চাপাবাজির মত শোনাতে পারে। মনের গহীনে লুকানো বাঞ্ছাটি পূর্ণ হওয়ার মত পরিপূর্ণ বাস্তবতা অবগাহনের সুযোগ আমার মিল্লই বটে। ২৮তম বিসিএস এর সুবাদে এখন আমি আমার অভ্যন্তরীণ কল্পনার বাস্তব রাজ্যে বিচরণ করছি।  তবে, লোভী মনটা আর পারিপাশ্বিক চাপের কারণে অন্য কিছু যে হতে চাইনি, তা কিন্তু সত্যি নয়। মনের গহীনে অনেক রঙিন স্বপ্নের আনাগোনা কার না থাকে। বহুধা বিভক্ত স্বপ্নরাশি চতুর্দিক থেকেই তারা করত বটে। আবার কিছু উপ-স্বপ্ন, কিছু সহ-স্বপ্ন তো উঁকি মারত-ই। কখনও প্রশাসক, কখনও সংবাদ পাঠক হওয়ার ইচ্ছে জাগত। কখনও বা সিনেমার কমেডিয়ান। এগুলো বাহ্যিকতা বা পারিপাশ্বিকতা। অবশেষে দ্বিতীয় বার বিসিএস এ যখন আবারও শিক্ষা ক্যাডার পেলাম। তখন মনের ভেতরের মানুষটি আর বাইরের মানুষটির জন্য একই ধারা, একই সুর হয়ে শিক্ষকতাই হয়ে রইল কর্মযজ্ঞের এক রহস্যময় আধার।


শিক্ষকতার ধারাবাহিকতায় তৃতীয় কর্মস্থল হিসেবে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ছিল ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ যার তৎকালীন নাম ছিল বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেল্স কলেজ। ২০০৫ সালের ২ জুলাই যোগদান করে ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেবাদান করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। ৫ বছর ৫ মাস সময়টি আবার দ্বিখ-িত। দিবা শাখায় প্রায় অর্ধেক সময়, প্রভাতি শাখায় বাধ্য হয়ে গমন এবং বাকি সময় কাটানো। আমি এখন এই সময়কালকে চাকুরিকাল বলার চেয়ে প্রশিক্ষণকাল বলতে বেশি পছন্দ করি। এই প্রতিষ্ঠানে সেবাদানের পাশাপাশি অগণিত বিষয়ে (ভাল/মন্দ) যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা সারা জীবনের সম্পদ। জীবনে বাকি সময়টুকুতে সে শিক্ষা পাথেয় হয়ে-ই থাকবে। আমি দেখেছি শিক্ষক মানুষ যে কত  উদার ও মহান হতে পারে! অসংখ্য উদাহরণ দিতে পারি।  .... .... নাম বলে শেষ করতে পারবো না। আবার খানিক এর বিপরীত দৃশ্যও দেখতে বাধ্য হয়েছি দু’চোখ মেলে নীরবে, নিভৃতে।

শিক্ষকতা বলতে কী বুঝায়? আমি জানি না। এর দায় কত খানি? কাজ বা আচরণের আওতা বা পরিধি কী হবে তারও কোন লিখিত ফর্দ পাইনি আজও। কী করা যায়, আর কী করা যায় না তার কোন সত্যিকার সীমারেখা জানা নেই। কেনই বা শিক্ষা অর্জনের চেষ্টা? কী তার উদ্দেশ্য? শিক্ষার্থীদের যখন শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করি, কেউ বলে জ্ঞান অর্জন করতে চাই/ প্রতিষ্ঠিত হতে চাই/ কর্মসংস্থান চাই/ জীবিকা অর্জনের উপায় চাই ইত্যাদি। মনের মত উত্তর এগুলোর একটিও নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য আচরণিক পরিবর্তন। একজন শিক্ষিত মানুষের আচরণ এবং একজন অশিক্ষিত মানুষের আচরণ ভিন্ন হবে; শিক্ষিত মানুষটির আচরণ অবশ্যই উৎকৃষ্ট হবে। কিন্তু বাস্তবতার রাজ্যে এগুলো ঠুনকো আবেগ। জীবিকা অর্জনের সঙ্গে শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই। মনের গভীরে একটি ভুবন তৈরি করা শিক্ষার কাজ। আর জীবিকা অর্জনের জন্য যে- কোন সম্মানজনক কাজ হলেই চলে।

বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে, সমাজের প্রচলিত ও প্রায়োগিক রীতি-নীতির আলোকে বিচার বিশ্লেষণ করলে এ কথা প্রায় সকলেই স্বীকার করবে যে, অশিক্ষিত লোকের চেয়ে শিক্ষিতরাই পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি বয়ে আনে। তবে কি শিক্ষা অর্জন কেবল বইয়ের পাতায়? আর সার্টিফিকেট অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ? তবে কি যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা প্রবাহমান নদীর মতন শিক্ষকতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বসেছে?  না কি শিক্ষকতার প্রতি আদেষ্টার অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে ক্রমে ক্রমে তা তার আপন মহিমায় উজ্জ্বল থাকতে পারছে না? এ জন্য কে দায়ী? ভাবতে হবে সকলকেই।

সার্বিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি শিক্ষকতার সম্মান ও আনন্দকে অবদমিত করে রাখছে। একজন শিক্ষার্থীকে জীবনের লক্ষ্য কী জিজ্ঞেস করলে অকপটে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় জবাব দেয়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ... .... ইত্যাদি। শিক্ষকতার প্রতি এদের বিন্দুমাত্র আকর্ষণ নেই। শিক্ষক হওয়ার প্রশ্নে এদের বিরক্তি আর অবজ্ঞার অন্ত নেই। শিক্ষকদের প্রতিও সুরুচিপূর্ণ বাক্য বা দৃষ্টিভঙ্গি নেই। অথচ, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার যা-ই হতে চাক না কেন একজন শিক্ষার্থীকে কোন না কোন শিক্ষকের সংস্পর্শে এসে তবেই তাকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এ কথাটি বেমালুম ভুলে গেলে শিক্ষকের জাত বাঁচবে কেমন করে? পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকের মান মর্যাদা সম্পর্কে সকলেরই কম-বেশি জ্ঞান রয়েছে। ওখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য শিক্ষকতা। সে রকম সম্মান ও সম্মানী উপর থেকেই ঠিক করা আছে। যোগ্য লোক নিয়োগ করা হয় এবং মূল্যায়নটাও সেভাবেই নির্ধারণ করা। আমাদের শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদ- হবে, তবে সে মেরুদ-ের ধারক ও বাহক শিক্ষকের প্রতি কেন এত বৈরাগ্য? কেন এত উদাসীনতা?

অপরদিকে, শিক্ষককে তো সম্মান ও আনন্দ প্রাপ্তির যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করে আমরা সাধারণত একটি চাকুরির সন্ধান করি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে হাজারো প্রকারের মধ্যে থেকে যে- কোন ধরনের একটি চাকুরির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করি। জীবিকার তাগিদে চাকুরি খুঁজতে খুঁজতে সে সুযোগটি যদি হয়ে যায় কোন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার, তাহলে-ই আমরা শিক্ষক হয়ে উঠি। আর যে ব্যক্তি কেবল শিক্ষক হতে চেয়েছেন এবং নিয়োগ পেয়ে পুর্বোক্ত ব্যক্তির সহকর্মী হিসেবে পাশাপাশি চেয়ারে আসীন হচ্ছেন এ দু’য়ের মধ্যে আসলেই কি কোন তফাৎ নেই? কেবল একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন-ই কি শিক্ষক হওয়ার মানদ- হওয়া উচিৎ? এ ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় যথার্থ-ই বলেছেন, “আমরা কেবল মেধা যাচাই করে শিক্ষক নিয়োগ করি, শিক্ষক চরিত্রবান কি না তা যাচাই করে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। সুতরাং আপনারা সাবধান থাকবেন।” A teacher is a friend, philosopher and guide to the students. তাই বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্লু-টুথে ইন্সট্রুমেন্ট আদান প্রদান না করলেই কি চলে না? হীন স্বার্থ লাভের জন্য এত খানি মাখামাখির কী দরকার?

মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম শিক্ষক কে? এমন করে বোধ হয় কোন উত্তর আজ পর্যন্ত খোঁজ করা হয়নি। হলেও তা আমার জ্ঞানাতীত। কী করে শিক্ষকতা একটি পেশায় পরিণত হল তা বোধ করি সকলেরই জানা। একজন শিক্ষক সারা জীবনের জন্য ছাত্র। শিক্ষার্থীকে দেওয়ার মতন উপাদান প্রতিনিয়ত শিক্ষককে সংগ্রহ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের জীবনের অনাগত সময়ের রূপরেখা নির্মাণে ভূমিকা রাখার প্রধান নিয়ামক শিক্ষক। সত্যিকার অর্থে শিক্ষকতা বুকে লালন করা, পালন করা বা ধারণ করা সহজ কাজ নয়। সে জন্যেই শিক্ষকতা সবার জন্য নয়। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন, “শিক্ষকতা কোন পেশা নয়, এটি একটি ব্রত”। এ ব্রত পালনের জন্য আমি, আপনি, আমরা সকলেই নিয়োজিত। কতটা পারছি কে জানে?  জানি, শিক্ষার্থীদের অনেক অভিযোগ শিক্ষকদের প্রতি। কোন শিক্ষার্থীকে এই স্বাধীনতা দেওয়া হয় না বা কোন শিক্ষার্থীর এই সাহস নেই যে, কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সত্যিকারের অভিযোগগুলো মুখের সামনে তুলে ধরবে। শিক্ষার্থীর আজীবন মুখ বুজে সয়ে যাওয়া মানেই কিন্তু অভিযোগহীন শিক্ষকতা নয়। শিক্ষার্থীর নিরব মনে অনেক প্রশ্ন, অনেক অভিযোগ। পৃথিবীর সকল শিক্ষকগণ আসুন, আমরা প্রত্যেকে একবার নিজেকে নিজের বিবেকের কাছে উপস্থাপন করি। বিচার করি। আত্মশুদ্ধি লাভের মাধ্যমে নিজেকে নতুন করে মেলে ধরি প্রাণ প্রিয় শিক্ষার্থীদের সম্মুখে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নিজে যা বিশ্বাস করে, লালন করে সেখানে অন্যকে টেনে আনার চেষ্টা করে। নিজের যুক্তিগুলোকে অন্যের অনুকরণীয় ভাবে। প্রত্যেকেই যদি অপরকে নিজের কাছে টানতে চায়। তাহলে পুরো পৃথিবীটা তো টানা টানিতে বেসামাল হয়ে পড়বে।  কী প্রয়োজন এ সবের! যার যা ভাবনা আছে, থাক না সেখানে। বরং ভাবনাগুলোকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভাসমান রেখে অপরকে যদি স্বত:প্রণোদিত আবিষ্ট বা আকৃষ্ট করা যায়। তা-ই উৎকৃষ্ট নয় কি?

বিবিসি’র জরিপ থেকে শোনা, আমেরিকায় ১০০% কৃষকের কলের লাঙ্গল  এবং ৯৯% কৃষক পরিবারে নিজস্ব রঙিন টেলিভিশন রয়েছে। কৃষি কাজ সেখানে অশিক্ষিতের কাজ নয়। মেশিনে মাড়াই কাজ সম্পাদিত হচ্ছে। শিক্ষায় ডিগ্রীধারীরা কৃষি কাজে ব্যস্ত। মোটেও অসম্মানজনক নয় সে কাজটি। কৃষক বলে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় না তাদেরকে। যেখানে আমাদের দেশে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিযুক্ত থেকেও কখনও কখনও শিক্ষকের সম্মানটাকে হেরিকেন ধরিয়ে খুঁজে পেতে হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের অপদস্থ করার মতন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্মদাতা কিছু ছাত্র নেতা নামধারী কুলাঙ্গারের এ জাতির ললাটে কালিমা লেপনের সংবাদ তো দৈনিক পত্রিকা খুললেই পাই প্রায় প্রতি দিনই। জাতিগতভাবে জাতির জাতিগত সংকীর্ণতার কারণে শিক্ষককে যদি এ জাতি মূল্যায়নে ব্যর্থ হয়, সে দায় তো শিক্ষকের নয়।

এবার একটি ব্যতিক্রমী বাক্যের অবতাড়না করছি, “লেখাপড়া শিখে মানুষ হলে নিজের ক্ষতি, অপরের জন্য তা মঙ্গলজনক। আর লেখাপড়া না করে অমানুষ থেকে গেলে তা নিজের জন্য কল্যাণকর, অপরের জন্য তা অমঙ্গলজনক।” আমি অবশ্যই কেবল কাগুজে লেখা পড়া আর সার্টিফিকেটধারীদের কথা বলছি না। ঐ কথাটি বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে। মানতে আপত্তি থাকতে পারে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, কেউ আপনাকে অবিবেচকের মত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিতে পারে। কারণ, সে অশিক্ষিত বা অর্জিত শিক্ষা তার মধ্যে ইতিবাচক কোন পরিবর্তন আনেনি। কিন্তু, আপনি তাকে গালাগাল দিতে পারবেন না। কারণ, আপনি প্রকৃত অর্থেই শিক্ষিত। সুতরাং সে আপনাকে যাচ্ছেতাই গালাগাল দিয়ে তার সমস্ত রাগ ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিজে শান্ত হল আর আপনি কোন রকম প্রতিউত্তর না করতে পেরে নিজের মধ্যে রাগটাকে চেপে রেখে কষ্টটাকেই বাড়িয়ে চল্লেন। ক্ষতিটা আপনারই হল।

তবে, জ্ঞানী আর মূর্খ যাই বলেন না কেন, আমি একটি জায়গায় আটকে যাই বারবার। কথায় আছে, Men are two kinds. (i) stupid & (ii) intelligent. The only difference is, the stupid can never hide their stupidity, but the intelligent can. ভাবার্থে প্রকাশ পায়, সকল মানুষই অসভ্য। তাহলে মনুষ্যত্ব কোথায় গেল? সব কি ডুবে গেল গঙ্গার জলে?
অবশ্যই নয়। মানুষ শব্দটি প্রকৃত অর্থে একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। একটি তাৎপর্যকে উচ্চে তুলে ধরে। সকল সংকীর্ণতা ও সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে হৃদয়বান মানুষ জ্ঞান চক্ষুর দ্বারা জগতকে অবলোকন করে, নিজেকে ও অপরকে বিশ্লেষণ করে, খারাপটুকু শোষণ করে এবং ভালটুকু ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে। পৃথিবী হয় নির্মল ও আনন্দময়।

সে অনেক কথা। সবশেষে বলি, শিক্ষকতায় তৃপ্তির জায়গা আছে। আনন্দ আছে। যে তৃপ্তি ও আনন্দ আজও আমি উপভোগ করি,  করছি, করবো। সে আনন্দ আমি ঐ প্রতিষ্ঠানটিতেও পেয়েছি বহুগুণে। যদিও ঐ চাকুরিটি ফিরে পাওয়ার ইচ্ছে একটি বারও জাগছে না মনে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিযুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ বছর ৫ মাস সেবাদানের সুযোগের ফলে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে তা সারা জীবন এক খণ্ড অখণ্ড নির্মল সুখস্মৃতি হয়ে মনের মনিকোঠায় অম্লান থাকবে। সুন্দর পরিপাটি ফুলের বাগানেও কীট পতঙ্গ কিছু থাকবেই। অমন কিছু ব্যক্তিবর্গের সম্মানহানি না করেই বলছি, ঐ প্রতিষ্ঠানটিতে সহকর্মীদের যে সহযোগিতা আর ভালোবাসা পেয়েছি তা সত্যি-ই অমৃত সমান। শত দু:খ ক্লিষ্ট মনেও শান্তির পরশ। শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ মুখ আমাকে সব সময়-ই টানে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিদীপ্ত দুষ্টমী আজও স্নেহের সঙ্গে স্মরণযোগ্য। শিক্ষকের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধায় শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ চোখের মিষ্টি দৃষ্টির চেয়ে বড় পুরস্কার আর কিছুই হতে পারে না।

মো. বজলুর রশিদ
প্রাক্তন শিক্ষক
বর্তমানে- সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ

* রউফিয়ানস রিদম, প্রথম সংখ্যা থেকে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন